সরকারের কাছ থেকে বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নেওয়া এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভু'য়া সনদ জালিয়াতি করার অ'ভিযোগে গ্রে'প্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদেরাগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর মোবাইল ফোন চেক করে অনেক মেসেজ পেয়েছে পু'লিশ। প্রতিটি মেসেজের শুরুতেই সাবরিনা নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান দাবি করেন বলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদকারী ঢাকা মহানগর পু'লিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।
ত'দন্তে পাওয়া একটি ম্যাসেজে, সাবরিনা লিখেছেন, ‘সুমন আমি জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা বলছি। তুমি খুব কিউট। আমা'র প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। করো'না নমুনা সংগ্রহ করতে সব ধরনের সহযোগিতা কর।’এ প্রসঙ্গে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিন দিনের রি'মান্ডে নিয়ে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তিনি কিভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে করো'না নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভু'য়া সনদ দিতেন সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
জানা গেছে, ডা. সাবরিনাকে সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আ'দালতে হাজির করে চার দিনের রি'মান্ডের আবেদন করে পু'লিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিন দিনের রি'মান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে ডিবি কার্যালয়ে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
পু'লিশ জানিয়েছে, সাবরিনার মোবাইল ফোন চেক করে সাতটি মেসেজ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মেসেজে সাবরিনা বিভিন্ন মানুষকে কখনো জেকেজির চেয়ারম্যান, কখনো সমন্বয়ক আবার কখনো আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন। তাকে সহযোগিতাকারী অনেক প্রভাবশালীর নাম জানা গেছে।
তেজগাঁও থা'না সূত্র আরো জানিয়েছে, জেকেজির বি'রুদ্ধে মোট চারটি মা'মলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রতারণার এবং আরেকটি থা'নায় হা'মলা, ভাঙচুর ও পু'লিশের কাজে বাধা দেওয়ার অ'ভিযোগে করা হয়েছে। প্রথম মা'মলা'টি দায়ের করেন কামাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ, করো'নাভাই'রাস পরীক্ষার ভু'য়া প্রতিবেদন দেওয়া ও জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণের মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অ'ভিযোগ আনা হয় এজাহারে। ওই মা'মলায় গত ২৩ জুন আরিফুলকে গ্রে'প্তারের পর জেকেজি কর্মীরা তেজগাঁও থা'নায় গিয়ে বি'ক্ষোভ করে। পরে পু'লিশ বাদী হয়ে আরেকটি মা'মলা করে এবং তাতে জেকেজির ১৮ কর্মীকে গ্রে'প্তার করা হয়।
আরিফের গ্রে'প্তারের খবর পেয়ে দুজন ব্যবসায়ী একই থা'নায় আরো দুটি মা'মলা করেন। এর একটিতে ১২টি ল্যাপটপ ভাড়া নেওয়ার নামে আত্মসাৎ করা এবং অন্যটিতে দুটি আর্চওয়ে এবং ২০টি ওয়াকিট'কি কিনে টাকা না দেওয়ার অ'ভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে আরিফকে তিনটি প্রতারণার মা'মলায় গ্রে'প্তার দেখানো হয়েছে।
Comments
Post a Comment