তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পু'লিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা'ব) হাতে ধ'রা পড়েছে তার কুকী'র্তি। রোববার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ'ভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রে'ফতার করে র্যা'ব-৩। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আ'দালত পরিচালনা করে তিনজনের জে'ল-জ'রিমানা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলা'শ কুমা'র বসু।
গ্রে'ফতাররা হলেন-ভু'য়া চিকিৎসক শওকত হোসেন সুমন, ল্যাব টেকনোলজিস্ট অসীম মণ্ডল ও ফার্মেসি ইনচার্জ কাকন মিয়া।
র্যা'ব-৩ জানায়, ডেম'রা থা'নাধীন এসএইচএস হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সুমন নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চর্ম ও যৌ'ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে গত তিন বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এই সংবাদ পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আ'দালত পরিচালনা করা হয়। অ'ভিযানে জানা যায়, হাসপাতালটি অনুমোদনহীন ভ্যাকসিন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, সরকারি ওষুধ, নিষিদ্ধ যৌ'ন উত্তেষক ওষুধ বিক্রয়ের জন্য অ'পরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীবিহীন রুমকে আইসিইউ রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
পরে এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে এসএইচএস হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের চেয়ারম্যান ভু'য়া চিকিৎসক শওকত হোসেন সুমনকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদ'ণ্ড ও দুই লাখ টাকা জ'রিমানা এবং জ'রিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ'ণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আ'দালত।
পাশাপাশি ল্যাব টেকনোলজিস্ট অসীম মণ্ডলকে এক লাখ টাকা জ'রিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ'ণ্ড এবং ফার্মেসি ইনচার্জ মো. কাকনকে পাঁচ লাখ টাকা জ'রিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ'ণ্ড প্রদান করেন আ'দালত। পরে এসএইচএস হেলথ কেয়ার হসপিটালকে সিলগালা করে দেয়া হয়।
অ'ভিযান স'ম্পর্কে র্যা'বের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলা'শ কুমা'র বসু বলেন, অ'ভিযানকালে ভু'য়া ডাক্তার সুমনকে রোগীর ব্যবস্থাপত্র প্রদানকালে হাতেনাতে আ'ট'ক করা হয়। কিন্তু তিনি জিজ্ঞাসাবাদে ডাক্তারি সপক্ষে কোনো সার্টিফিকেট বা বৈধ কাগজ প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন। পরে হাসপাতা'লের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া হাসপাতা'লে যে সকল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করেন বলে দাবি করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের কেউই সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন না।
Comments
Post a Comment